ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে বিএনপির প্রার্থী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পোস্টার ছেড়াকে কেন্দ্র সেচ্ছাসেবকদলের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ কয়েকজন কর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবু সায়েমের অবস্থা গুরুতর। তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
রোববার রাত ৮টায় রুহিমানপুর মাদারগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আবু সায়েম পরাগ বলেন, বিএনপির প্রার্থী মির্জা ফখরুলের পোস্টার লাগালে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ছিঁড়ে ফেলে। পরে তারাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে মাথা ফেটে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলা রুহিমানপুর মাদারগঞ্জ এলাকায় ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবু সায়েম পরাগ স্থানীয় কর্মীসহ বিএনপির প্রার্থী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পোস্টার লাগাতে যান। এ সময় একই এলাকায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী তাকে বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হলে সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবু সায়েম পরাগ গুরুতর আহত হয়।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপানোর জন্য যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করছে। আমরা বিএনপির প্রার্থী পোস্টার লাগানোর বিষয়ে কোনো বাধা প্রদান করিনি। তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
ঠাকুরগাঁও জেলা সেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি নুরুজ্জামান নুরু জানান, প্রতিনিয়ত আওয়ামীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় হামলা ও বাধা প্রদান করছে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে অবগত করলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে আমরা সজাগ রয়েছি।
সুত্রঃ যুগান্তর