জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন অভিযোগ করেছেন, ১০ ডিসেম্বর থেকে থেকে তাদের জোটের নেতা কর্মীদের ওপর হয়রানির মাত্রা বেড়ে গেছে। এই আট দিনে ঐক্যফ্রন্টের বিরুদ্ধে ৯৫টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলা তাদের দুই হাজার ২৪১ জন নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এসে এক বৈঠকে এ অভিযোগ করেন ড. কামাল হোসেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে এই বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ ড. কামাল হোসেন ছাড়াও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আবদুল কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বৈঠকে ইসিকে মামলা ও গ্রেপ্তারের সংখ্যা উল্লেখ করে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে একটি তালিকা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে দেওয়া হয়। তালিকায় উল্লেখ করা হয়, ১০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর ৯৫টি মামলা হয়েছে। এসব মামলার এজাহারে ১২ হাজার ১৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাগুলো করা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাত হিসেবে আরও নয় হাজার ৭৩৩ জনকে আসামি রয়েছেন। এর মধ্যে দুই হাজার ২৪১ জন এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ইসিকে জানানো হয়, প্রতীক বরাদ্দের পর তাদের ২৪ নেতা কর্মী দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতিত হয়েছেন এবং চারজন মারা গেছেন।
বৈঠকে ইসিকে জানানো হয়, ১১ নভেম্বর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট এবং ঐক্যফ্রন্টের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৫৮টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় এজাহারে ২৩ হাজার ৫৩০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২৪ হাজার ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের ছয় হাজার ২৯১ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের ১৩ জন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং তিনজন মারা গেছেন।
সুত্রঃ প্রথম আলো