কুমিল্লার মুরাদনগরে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েও রক্ষা পাচ্ছেন না। পুলিশের মিথ্যা মামলা ও তল্লাশীর নামে হয়রানি থেকে বাঁচতে বিলে আশ্রয় নিয়েও স্বস্তিতে নেই ধানের শীষের সমর্থকরা। পুলিশ বিলে আশ্রয় নেয়া বিএনপি সমর্থকদের ধরতে বিলেও অভিযান চালাচ্ছে। তাছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাসী চালাচ্ছে, বাড়িতে পুরুষদের না পেয়ে নারীদের হয়রানি করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত এক সপ্তাহে অন্তত ১০টি মিথ্যা মামলা দায়ের করে বিএনপির কমপক্ষে একশত নেতাকর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের গ্রেফতার থেকে প্রবাসীরাও রক্ষা পাচ্ছেন না। বিদেশ থেকে ছুটিতে বেরাতে আসা প্রবাসীদেরও ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। স্থানীয় বিএনপির নেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, বিদেশ থেকে ছুটিতে বাড়িতে বেরাতে এসেছেন আন্দিকোট ইউনিয়নের গাংগেরকোট গ্রামের প্রবাসী সোহাগ (৪০)। আজ সন্ধ্যায় কোন মামলা ছাড়াই তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে পুলিশ। গত এক সপ্তাহে ১০০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ যখন তখন নেতাকর্মীদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে। পুলিশি হয়রানি থেকে বাঁচতে মানুষ বিলে (কৃষি জমি) অবস্থা নিয়েছে। সেখানেও পুলিশ হানা দিচ্ছে। বাসা-বাড়িতে পুলিশ প্রতিনিয়তই তল্লাশীর নামে হয়রানি করছে। পুলিশের হয়রানির কারণে বিলেও রাত্রী যাপন করতে পারছেন ধাষের শীষের ভোটারা।
অভিযোগে জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা দোকানে থাকতে পারছেন না। দোকান থেকেই পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে দোকানদারদের। নারীরাও শান্তিতে ঘরে থাকতে পারছেন না। ধানের শীষের পুরুষ সমর্থকদের না পেয়ে নারীদের হয়রানি করা হচ্ছে। একজন নারীকে রাইফেলের বাট দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
বিএনপির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, স্বার্থেন্বেষী কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা মোটা অংকের অবৈধ লেনদেনের কারণে অতিউৎসাহী হয়ে এসব করছেন। একটি পক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করে পুলিশ বিএনপির লোকদের হয়রানি করার বিষয়টি মুরাদনগরের মানুষের কাছে ওপেন সিক্রেট।
বিএনপির স্থানীয় এক নেতা বলেন, ধানের শীষের বিরোধী পক্ষ উতিউৎসাহী কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে এসব করাচ্ছে, একথা এলাকার মানুষের মুখে মুখে। অবৈধ লেনদেনের কারণেই পুলিশ ভোটে বাধা দিচ্ছে, গণগ্রেফতার করছে। স্থানীয়রা এর সুষ্ঠু তদন্ত চায়, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ চায়।
সুত্রঃ শীর্ষকাগজ