ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের মাহাবুব উদ্দিন হাওলাদার বাড়িতে একদল দুর্বৃত্ত ভুঁয়া ম্যাজিস্ট্রেট সেজে তল্লাশি, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আজ (২৩ ডিসেম্বর) রোববার দুপুর ২টার দিকে ম্যাজিস্ট্রেট লেখা স্টিকার লাগানো একটি ও দাঙ্গা পুলিশ পরিচয়ে আরও একটি গাড়িতে করে মাহাবুব উদ্দিন হাওলাদার বাড়িতে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। এরা ভোলা-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহীমের মামাত ভাই ঢাকায় অবস্থানরত আকবর হোসেন এর বসত ঘরে ব্যাপক তা-ব চালায়। বাসায় অবস্থান করা আকবর হোসেনের মা, ছোট ভাইদের স্ত্রীরা তল্লাশির পূর্বে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে লিখিত চান। এরপর বাসার লোকদের মারধর করে জোরপূর্বক তল্লাশি শুরু করে। এসময় বাসার আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা।
ভোলা-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহীম অভিযোগ করে বলেন, ২০০১ সালের নির্বচনের পূর্বে ভুঁয়া সেনাবাহিনীর পোশাক পরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে আওয়ামী ক্যাডাররা। সেই সময় তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ভুঁয়া সেনাবাহিনীর পোশাক সহ ইমন বাহিনীর ইমনকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো: আব্দুল কুদ্দুস জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কথিত তল্লাশির সময় ডাক বাংলায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করতে বলেন ইউএনও।
এবিষয়ে ভোলা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মাসুদ আলম সিদ্দিকী বলেন, কথিত তল্লাশির বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
তল্লাশির বিষয়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাখাওয়াত হোসেন বলেন, তাঁর নেতৃত্বে কোন তল্লাশি চালানো হয়নি। ম্যাজিস্ট্রেট স্টিকারযুক্ত গাড়িতে করে কে বা কারা অভিযান চালিয়েছে এ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ভোলা-২ নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মীরা নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য নানা রকম বেআইনি কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা (আওয়ামী লীগের লোকেরা) সেনাবাহিনী- নৌবাহিনী, র্যাব, কোস্টগার্ড, বিজিবি, দাঙ্গা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের জ্যাকেটসহ বিভিন্ন বাহিনীর পোশাক সংগ্রহ করে সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোট থেকে দূরে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে।
সুত্রঃ শীর্ষকাগজ