যশোরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় টানানো ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়াও পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। মঙ্গলবার বিএনপির পক্ষ থেকে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে এই অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে শহরের চৌরাস্তা মোড়, এমএম আলী রোড, মাইকপট্টিসহ আশপাশ এলাকার টাঙানো ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে একদল সন্ত্রাসী। এ সময় তারা ছেঁড়া পোস্টারে আগুন ধরিয়ে দেয়।
যশোর-৩ আসনে বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব দেলোয়ার হোসেন খোকন অভিযোগ করেন, সোমবার প্রতীক বরাদ্দের পর শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে ধানের শীষের পোস্টার টানানো হয়। নির্বাচনী বিধি মেনেই প্রচারণার অংশ হিসেবে এসব পোস্টার সাঁটানো হয়।
সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে এসব পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। তিনি বলেন, পোস্টার ছিঁড়ে ক্ষান্ত হয়নি, তারা তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পরপরই যশোরে শাসকদলের পক্ষ থেকে সর্বত্র ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। বিধিভঙ্গ করে সভা-সমাবেশ করা হচ্ছে। অথচ আমাদের নেতাকর্মীদের প্রচারণা চালাতে দেয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না বলে তিনি দাবি করেন। বিষয়টি জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই শাসকদল মরিয়া হয়ে উঠছে। তারা বিএনপির নিশ্চিত বিজয় জেনে সর্বত্র ভীতি সৃষ্টি করছে। অথচ নির্বাচনী পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, যশোরের ৬টি সংসদীয় আসনে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। বাজারে চায়ের দোকানে পর্যন্ত উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। একই সঙ্গে অতিউৎসাহী কিছু পুলিশ নানাভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। এসব বিষয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, প্রচার সম্পাদক হাজী আনিসুর রহমান মুকুল, নগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মারুফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুনীর আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, জেলা যুবদলের সভাপতি আনসারুল হক রানা, সাধারণ সম্পাদক এম তমাল আহমেদ প্রমুখ।
সুত্রঃ যুগান্তর