সেনা মোতায়েনের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার থেকে টঙ্গীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার পুলিশ বিএনপির ৩২ জনকে আটক করে ও ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী পোস্টার, লিফলেটসহ বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচারপত্র জব্দ করতে টঙ্গী বাজারের ছাপাখানা পল্লীতেও পুলিশ তল্লাশি চালায় বলে স্থানীয় বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন।
গাজীপুর-২ (টঙ্গী-সদর) আসনে বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ডা. মাজহারুল আলম জানান, সেনা মোতায়েনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার যে আশা তারা পোষণ করেছিলেন গত দু’দিনে তার সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একদিকে বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা, হামলা, ভাংচুর ও অন্যদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ বাহিনীকে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গাজীপুর-২ নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির ৩২ জনকে বিনা কারণে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি এস.এম হাবিবুর রহমান, ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মনির হোসেন, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ঈমান আলী সরকার, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াত নেতা রিপন মিয়া, টঙ্গী থানা বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন মন্টু, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, ওযার্ড যুবদল নেতা মাসুদুর রহমান, ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল নেতা মণ্টু মিয়া, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল নেতা হারুন, ছাত্রদল নেতা নায়িম, টঙ্গীর সাতাইশ এলাকার যুবদল নেতা সজীব, মরকুন টেকপাড়ার জাকির, সাতাইশের বিএনপি নেতা খোকনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এছাড়া মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুর মেট্রো থানার মিছিল থেকে ১০ জনকে ও টঙ্গীর আরিচপুর থেকে দুই ছাত্রদল নেতাকে এবং ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল নেতা রাশেদসহ ৪ জনকে নির্বাচনী মিছিল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে গত বুধবার টঙ্গীর ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিনুর রহমান মধু, টঙ্গী থানা বিএনপির সাবেক অর্থ সম্পাদক আব্দুর রহমান ও ঐক্যফ্রণ্ট মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন সরকারের আত্মীয় স্থানীয় আউচপাড়ার সোহেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অপরদিকে মঙ্গলবার টঙ্গীর ৫২ ও ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণার মাইক ভাংচুর করে আওয়ামী লীগের কর্মীরা।
টঙ্গীর ৫৩নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল হালিম নয়া দিগন্তকে জানান, তাকে বাড়িতে না পেয়ে তার বৃদ্ধ বাবা জয়নাল আবেদীনকে স্থানীয় দেওড়ার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ।
সুত্রঃ নয়া দিগন্ত