রাজধানীতে প্রচার-প্রচারণায় পদে পদে বাধার মুখোমুখি ধানের শীষের প্রার্থীরা। একাধিক প্রার্থীকে মাঠেই নামতে দেয়নি পুলিশ। ঢাকা-৬ আসনে প্রার্থী সুব্রত চৌধুরীরর গণসংযোগে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিনের বাসার সামনে দিনভর পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রাখে।
বিকেলে সিদ্দিকবাজার এলাকায় ঢাকা-৬ আসনের প্রার্থী সুব্রত চৌধুরীর মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। সুব্রত চৌধুরীকে সেখানে বেশ কিছু সময় অবরুদ্ধ করেও রাখা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৫জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সালাহউদ্দিনের মিছিলে বাধা : ঢাকা-৪ আসনের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ সকাল ১০টার দিকে শ্যামপুরের নিজ বাসা থেকে মিছিল নিয়ে প্রচারণায় বের হতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। এসময় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়।
সাড়ে ১১টা দিকে মহাজোট প্রার্থীর আবু হোসেন বাবলার সমর্থকরা সালাহউদ্দিনের বাসাার সামনে এসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপির কয়েকজন কর্মী-সমর্থক আহত হন। ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী।
সালাহউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেন, তিনি ধানের শীষের একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পুলিশ তা করতে দেয়নি। উল্টো বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করেছে। তিনি বলেন, আমরা শান্তি চাই কোনো সংঘর্ষ চাই না।
নির্বাচনী প্রচারনায় নামতে নিষেধ করে পুলিশ : আফরোজা আব্বাস
প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা প্রদানে অনীহা এবং নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে নিষেধ করায় প্রচারণা চালাতে পারেননি ঢাকা-৯ আসনের বিএনপির প্রার্থী আফরোজা আব্বাস। দুপুরে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সবুজবাগ থানায় যোগাযোগ করা হলে তারা নিরাপত্তা প্রদানে অনিহা প্রকাশ করে এবং নির্বাচনী প্রচারণা নামতে নিষেধ করা হয়। এজন্য নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
তিনি বলেন, প্রতিদিনই আমার নির্বাচনী প্রচারণায় চোরাগুপ্তা হামলা করা হচ্ছে। ফলে অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়ে ফেরত আসছে। এতে আমার বাসভবন হাসপাতালে রূপ নিয়েছে। মারাত্মক আহত কর্মীরা চিকিৎসা সেবা পর্যন্ত নিতে পারছে না। তাদেরকে ক্লিনিক ও হাসপাতাল থেকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে।
ঢাকা ১৪ আসনে সাজুর গণসংযোগ :
ঢাকা ১৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী সৈয়দ আবুবকর সিদ্দিক সাজু গতকাল তার নির্বাচনী এলাকার দারুস সালাম ও কল্যানপুরে দু’দফা গনসংযোগ করেছেন। এসময় তিনি ভোটারদের মাঝে লিফলেট বিতরন করে ধানের শীষে প্রতীকে ভোট চান।
গনসংযোগকালে তিনি বলেন, সারাদেশে ধানের শীষের পক্ষে যে গনজোয়ারের সৃষ্টি হয়েছে, আগামী ৩০ শে ডিসেম্বর ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমেই তার প্রতিফলন ঘটবে।
৩০ ডিসেম্বর সবাইকে কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান শামীম আরার
বাধা উপেক্ষা করে ঢাকা-১১ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শামীম আরা বেগম প্রচার-প্রচারাণায় চালিয়ে যাচ্ছেন। কৌশল পাল্টে প্রতিদিনই গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। মহিলা দলের কিছু নেতাকর্মী ও স্থানীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুড়েছেন। এক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের আক্রমণের ভয়ে প্রধান সড়কে বড় শোডাউন কিংবা জনসভা ও পথসভার মত কর্মসূচি বাদ দিয়ে ভোটারদের বাসা বাড়িতে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন তিনি।
উত্তর বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় গণসংযোগ করেন শামীম আরা বেগম। এসময় তিনি সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন। শামীম আরার গণসংযোগকালে ৩০-৪০ জন যুবক জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে হাতে বাঁশের লাঠি নিয়ে এগিয়ে আসলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় ও তাদের কাছ থেকে প্রায় অর্ধশত বাঁশের লাঠি জব্দ করে নিয়ে যায়।
নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ :
ঢাকা-৫ আসনের বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নবীল্লাহ নবী সকাল সাড়ে ১০টায় ডেমরার বামৈল বাজার থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। এ সময় তার সাথে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকের উপস্থিতি দেখা গেছে।
সুত্রঃ নয়া দিগন্ত