রাজশাহীর ছয়টি নির্বাচনী আসনে রোববার সকাল ৮টা থেকেই বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ৬৯৫ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
জেলার ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭৭ ভোটার বিকাল ৪টা পর্যন্ত তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এদিকে ভোটগ্রহণ শুরুর পরপরই রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের কামারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর নৌকা ও বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ধানের শীষ প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ফলে ভোটকেন্দ্রটির বাইরের পরিবেশে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে তানোরের কলমা ইউনিয়নের কলমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রের বাইরে বিএনপি-আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে কেন্দ্র দুটিতে যথারীতি ভোটগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার ও রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদের।
সকল ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
এদিকে সকাল পৌনে ৯টায় রাজশাহী-২ (সদর) আসনে মহাজোটের প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা নগরীর জুলফিয়া সরকারি প্রাথমিককেন্দ্রে সস্ত্রীক ভোট প্রদান করেন। ভোট প্রদান শেষে বাদশা উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনু জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের সঙ্গে নিয়ে নগরীর ২ ও ১৯ নং ওয়ার্ডের দুটি কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করেন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ করেছেন।
এদিকে ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনু পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা শনিবার রাতভর নগরীজুড়ে তার ধানের শীষের সব পোস্টার কেটে ফেলেছে।
অন্যদিকে জেলার বাগমারা, দুর্গাপুর, পুঠিয়া, বাঘা, চারঘাট ও গোদাগাড়ীতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া উপেক্ষা করে নির্ধারিত সময়ের আগেই অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে যান। স্থানীয়রা বলছেন, ভোটের আগে ভোট দিতে পারবেন না বলে গুজব ও আশঙ্কা ছড়ানোয় রোববার সকাল থেকেই ভোট প্রদানে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
সুত্রঃ যুগান্তর