নির্বাচনের আগের রাতেই শতাধিক আসনে নৌকায় সিল মারা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
রুহুল কবির রিজভীর অভিযোগ, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতেই ভোটকেন্দ্রগুলো দখল করে নৌকায় সিল মেরেছে।’ তিনি দাবি করেন, গতকাল (শনিবার) রাতেই কোনও কোনও কেন্দ্রের ৭০ শতাংশ ভোট নৌকায় দেওয়া হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘ভোটের দিন সকালেও সারা দেশের বিভিন্ন নির্বাচনি আসনের কেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের মারধর বের করে দিয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় নৌকায় সিল মারছে।
রিজভী দাবি করেন, ‘সহিংস নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার একতরফা নির্বাচন করার যে পরিকল্পনা করেছে, তার প্রমাণ মেলে দুই ঘণ্টার নির্বাচনের চিত্র দেখলেই। সহিংসতা করে গতকাল রাতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা টাঙ্গাইল-২ আসনের শ্যামপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি আবদুল আজিজকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আজ গুলি করা হয়েছে ঢাকা-৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী সালাউদ্দিনকে।’
রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির প্রার্থী সালাউদ্দিন আজ ভোট দিয়ে বের হওয়ার পর ভোটকেন্দ্রেই তাকে গুলি করা হয়েছে।
তিনি জানান, ২০১৪ সালে শেখ হাসিনার অধীনে যে নির্বাচন হয়েছিল, তাতে আমরা অংশ নেইনি। শেখ হাসিনার অধীনে কোনও নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনার অধীনে এই নির্বাচন কত বর্বর ও নৃশংস হতে পারে, তার নমুনা তিনি এবার দেখিয়েছেন।
এই নির্বাচনকে সহিংস নির্বাচন বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন রিজভী। রিজভী উল্লেখ করেন— নৃশংস নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও ৯০ এর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির সহ-সংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আযাদ, সহ-দফতর সম্পদক মনির হোসেন প্রমুখ।
সুত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন